আশ্রাফুল আলম নোবেল পাটোয়ারী : প্রমোশনে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করায় ব্যাংক সেক্টর জুড়ে কর্মকর্তাদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে । ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (আইবিবি) খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ বেশ পুরোনো। ভালো পরীক্ষা দেওয়া ব্যাংকারের খাতা বদল করে ফেল করানোর ঘটনাও আছে। এসব কারণে পরীক্ষায় আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেক ব্যাংকার। এতে আয়ও কমছে প্রতিষ্ঠানটির।
এখন আয় বাড়াতে সব ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারের ওপরের পদে পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুই পর্ব পাস করা বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত কার্যকরে সংশ্নিষ্ট বিভাগ থেকে দুই বছর সময় দেওয়ার প্রস্তাব গিয়েছিল। উচ্চপর্যায়ে অনুমোদন হয়েছে এক বছর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তড়িঘড়ি করে এ রকম সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ায় ব্যাংকারদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট বিভাগ ২০২৫ সাল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের প্রস্তাব দেয়। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যাংকে পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা দুই পর্বে আলাদা নম্বর বরাদ্দ থাকলেও কোথাও বাধ্যতামূলক নেই।
জানা গেছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাশাপাশি শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালকের (এডি) পরবর্তী পদে পদোন্নতির জন্য একই রকম সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকে এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগে পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদন নিতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদাধিকারবলে আইবিবির সভাপতি। তাঁর সভাপতিত্বে গত ২১ ডিসেম্বর সংস্থার কাউন্সিল সভায় আয় কমে আসার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় সংস্থাটির মহাসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক লাইলা বিলকিস আরা বলেন, ব্যাংকিং ডিপ্লোমায় অংশগ্রহণের সংখ্যা কম হওয়ায় আইবিবির আয় কমছে। আয় বাড়াতে সিনিয়র অফিসার অথবা সমপর্যায়ের পরবর্তী পদে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুই পর্ব বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়।