অর্থনীতির খবর (AANP):
২০২৩ সাল শেষে রেকর্ড ৩৭২৭ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পিএলসি। ২০২২ সাল শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। গত এক বছরে ব্যাংকটির আমানত ও ঋণের আনুপাতিক হার বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। যা আগের বছরের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।
ব্যাংকটিতে বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮০৯ টাকা। যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৬ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা বেশি। বছরের প্রথম দিন সোমবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে ব্যাংকের গত বছরের অর্জন সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ব্যাংক যেখানে টিকে থাকার লড়াই করছে সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকটি প্রায় সব সূচকে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশের ব্যাংকিং খাত এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি এগিয়ে যাওয়ার ধারা আগামীতে অব্যাহত থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড এমডি বলেন, ‘পারফমিং লোন বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকের মুনাফা বাড়ছে। মুনাফা বাড়ায় অচিরেই আমাদের মূলধন ঘাটতি শূন্যে নেমে আসবে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটিতে মোট আমানতের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার হাজার কোটি টাকা, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি আমানত এখন সোনালী ব্যাংকে। এই বিপুল আমানতকে ব্যবহার করতে পারলে আগামী বছরই ৫ হাজার কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করাসহ সব সূচকে ব্যাংকটি ভালো করবে বলে মনে করেন ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড এমডি মো. আফজাল করিম।
তিনি বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে ব্যাংকের নেট ইন্টারেস্ট মার্জিন পজিটিভ হয়েছে এবং সে ধারা এখনও অব্যাহত আছে । ২০২৩ সাল শেষে নেট ইন্টারেস্ট মার্জিন ২৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮২৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।’
মো. আফজাল করিম বলেন, সোনলী ব্যাংক বর্তমানে একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড ব্যাংক। এখন আমরা স্মার্ট ব্যাকিং সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি নির্ভর সেবা চালু করছি। সোনালী ই-ওয়ালেট অ্যাপসের মাধ্যমে ঘরে বসেই গ্রাহকরা লেনদেনসহ অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
সোনালী ই-সেবা সোনালী ব্যাংক প্রথম সরকারি ব্যাংক হিসেবে ২৪/৭ কল সেন্টার এবং বিদেশ খেকে রেমিটেন্স আনার জন্য অ্যাপস চালু করেছে।
পেপারলেস ব্যাংকিং কার্যক্রমে চালু করেছে চেকবিহীন কিউআরকোড দিয়ে টাকা উত্তোলন সেবা। নিত্যনতুন ডিজিটাল সেবার চালুর মাধ্যমে ব্যাংকের কাজে গতিশীলতা ও গ্রাহকের আস্থাও বেড়েছে। সোনালী ব্যাংকের দেশের অভ্যন্তরে মোট ১ হাজার ২৩০টি শাখা রয়েছে। তবে দেশের বাইরে ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে দুটি শাখা রয়েছে।
এ ছাড়া লোকসানী শাখার সংখ্যা ১৭টি থেকে কমে ৮টি সংখ্যায় নেমে এসেছে। আশা করা যায় এ বছর শেষে লোকসানী শাখার সংখ্যা শূন্যে নেমে আসবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরবৃন্দসহ, প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।