পেঞ্চাক সিলাতের ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন
ইনন্দোনেশিয়ান এম্বাসী ঢাকা, বাংলাদেশ রোজ শুক্রবার এ পেঞ্চাক সিলাতের ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনি’ বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ পর্যবেক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী উপহার প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত ইন্দোনেশিয়ান রাষ্ট্রদূত জনাব আরিফ সুইওকো। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের ডিফেন্স এটাচে কর্নেল ইমাম সেতিওয়ান, সোসিও-কালচারাল প্রোগ্রামের সচিব জনাব শহীদ নুর করিম এবং প্রশিক্ষক জনাব হাদিসানা।
বাংলাদেশ পেঞ্চাক সিলাত অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম মজুমদার টিংকু, ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মোহাম্মদ ফায়সাল, সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহীর কৃতি সন্তান এএসএম তাহমিদুল হক জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক এসএম পারভেজ এবং আইন বিষয়ক সম্পাদক জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন। তাঁরা অতিথিদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ সামগ্রী গ্রহণ করেন এবং পেঞ্চাক সিলাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
জনাব আরিফ সুয়োকো তার বক্তব্যে পেঞ্চাক সিলাতের গুরুত্বের উপর জোর দেন, যা কেবল একটি ঐতিহ্যবাহী ইন্দোনেশিয়ান মার্শাল আর্ট হিসেবেই নয়, বরং ক্রীড়া কূটনীতির মাধ্যমে মানুষে মানুষে সম্পর্ক এবং যুব সম্পৃক্ততা জোরদার করার একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করবে। এছাড়াও, একটি খেলাই নয় বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যা ইউনেস্কো এবং এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিল কর্তৃক মানবতার একটি অস্পষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। তিনি আরো বলেন, এই অবদান বাংলাদেশের আরও তরুণ ক্রীড়াবিদদের মার্শাল আর্ট শিখতে এবং অনুশীলন করতে অনুপ্রাণিত করবে, বন্ধুত্ব, শৃঙ্খলা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করবে। বাহরাইনে এশিয়ান যুব গেমস (AYG) পেঞ্চাক সিলাত প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী অলিম্পিক গেমসেও অনুষ্ঠিত। তিনি আশা করেন যে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয় এবং অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশে পেঞ্চাক সিলাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
কর্নেল ইমাম সেতিয়াওয়ান তরুণদের মধ্যে শৃঙ্খলা, চরিত্র এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা গঠনে মার্শাল আর্ট, বিশেষ করে পেঞ্চাক সিলাতের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে পেঞ্চাক সিলাত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উন্নয়নে দূতাবাসের অব্যাহত প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।এই কর্মশালাটি বাংলাদেশে পেঞ্চাক সিলাতের প্রশিক্ষণ কাঠামোকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।