নিজেস্ব প্রতিবেদক :: চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজের নির্বাচন অস্থায়ীভাবে স্থগিত করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবু মোঃ তৈয়ব হোসেন।
মামলার বাদি আগা আনসারুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, ২০০০ সালে তাঁরা পরিবারের ৬ ভাই-বোন মিলে স্কুল এন্ড কলেজকে ১৭ শতক জায়গা দান করেন। এরপর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গর্ভনিং বডির কমিটিতে দাতা সদস্য হিসেবে বাদী আগা আনসারুল ইসলাম চৌধুরী ও তার ভাই বোনদের কে স্থান দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ২০২১ সাল থেকে তাঁদের নামটি দাতা সদস্য থেকে বাদ দেওয়া হয়।
তাঁদের নাম কেন বাদ দেওয়া হলো-এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
গত অক্টোবর মাসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখার অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী ২৪-২৬ অক্টোবর মনোনয়ন ফরম বিতরণ এবং গ্রহণ, ২৭ অক্টোবর মনোনয়ন বাছাই, ২৮ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ৯ নভেম্বর(আজ) ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এর বিপরীতে নির্বাচনে ২টি পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, গভর্নিং বডির নিয়ম অনুযায়ী দাতা সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু দাতা তালিকা থেকে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়ায় আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। তাই আমি বিষয়টি জানতে গত ৩১ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার সহকারী জজ আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত রোববার প্রতিষ্ঠানটির নির্বাচন অস্থায়ীভাবে স্থগিতের আদেশ দেন।
বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, আদালতের নির্দেশে নির্বাচনটি স্থগিত করা হয়েছে। এর বাইরে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ আবু তৈয়ব হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, আজ মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সোমবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নির্বাচন স্থগিতের একটি আদেশনামা পাওয়ার কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য বিজয় করা স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা অত্র এলাকায় দানবীর ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষানুরাগী মরহুম আগা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর তার সুযোগ্য সন্তানেরা প্রতিষ্ঠানকে বাবার ক্রয়ের ১৭ শতাংশ জমি কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য দানপত্র করে দেন।