অর্থনীতির খবর : রেলের উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প নিলেও অনলাইনে টিকিট বিক্রিরই সামর্থ্য নেই বাংলাদেশ রেলওয়ের। টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবলসহ প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাঠামো না থাকায় বছরের পর বছর যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
১৯৯২ থেকে কম্পিউটারে প্রিন্ট করে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। এরপর ২০০৭ থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রির কাজটি করে আসছিল সিএনএস বিডি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
পনের বছর পর সিএনএসকে বাদ দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয় সহজ ডটকম নামের আরেক প্রতিষ্ঠানকে।
২৬শে মার্চ নতুন প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে টিকিট বিক্রি চালুর পরই অকার্যকর হয়ে পড়ে ওয়েবসাইট। টিকিট কিনতে কাউন্টারে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। ওয়েবসাইট এখন সচল হলেও, অনলাইনে টিকিট কাটতে না পারার অভিযোগ অনেকের।
এসব বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনে সহজ ডটকমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। সহজ ডটকম কর্তৃপক্ষের বরাতে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার জানান, দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিক্রি করা টিকিটের অর্থের একটি অংশ ঠিকাদারকে দিচ্ছে রেলওয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কীভাবে টিকিট বিক্রি করা যায়, এ বিষয়ে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। গত ত্রিশ বছরেও টিকিট বিক্রির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাঠামো গড়ে উঠেনি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যতে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন) এ এম সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘টিকেটিং সিস্টেমটা রেলের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করার জন্য কথাবার্তা হচ্ছে। আমরাও এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আশা করি এ বিষয়ে আমরা শিগগিরই একটা পরিকল্পনা দাঁড় করিয়ে ভবিষ্যতে নিজেরা টিকেটিং সিস্টেম পরিচালনা করতে সক্ষম হব’।