নিজেস্ব প্রতিবেদক: ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্যে মুদ্রানীতির লক্ষ্য, ভঙ্গি ও কৌশল এবং অর্থ ও ঋণ কর্মসূচির জন্য ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার এটি প্রকাশের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
চলমান করোনা মহামারিকে সামনে রেখে এতে আগের অর্থবছরের মতোই একটি সম্প্রসারণমূলক ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারে সহযোগিতার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিকে নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখার এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক তারল্য পরিস্থিতিসহ বিশ্ব অর্থনীতি ও দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির গতি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে মুদ্রানীতি ও এর জন্যে প্রয়োজনীয় নিয়ামকগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুতি রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, করোনা মহামারির কারণে গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধীর থাকায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে নির্ধারিত ১৪ দশমিক আট শতাংশ ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রকৃতপক্ষে আট দশমিক চার শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
তবুও, ২০২১-২২ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১১ শতাংশ ও ২০২২ সালের জুনে ১৪ দশমিক আট শতাংশ ধরা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে যেসব বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—করোনা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি; কৃষি, সিএমএসএমই, বৃহৎ শিল্প, রপ্তানিমুখী শিল্প ও সেবা খাতের জন্যে ইতোমধ্যে নেওয়া পুনঃঅর্থায়ন স্কিম বর্ধিতকরণের পাশাপাশি অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহণ শ্রমিক, হোটেল ও রেস্টুরেন্টের কর্মচারী এবং বেসরকারি শিক্ষাখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম; নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গঠিত ৫০০ কোটি টাকার এবং তফসিলি ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার এক শতাংশ নিয়ে গঠিত স্টার্টআপ ফান্ডের আকার বর্ধিতকরণ প্রভৃতি।
চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির জানান, আর্থিক খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও বিদেশে অর্থপাচার রোধ করতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) আর্থিক গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়াতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত আছে।