পবিত্র ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হলো পবিত্র হজ পালন করা। প্রত্যেকটি ভিত্তি মানুষের জীবনের সমস্ত গুনাহগুলোকে মুছে দেয়। পবিত্র হজের ব্যাপারে বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেন যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ করে এবং হজের মধ্যে কোন গুনাহ করে না সে যেন নবজাতক শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে যায় (বোখারি)। নবী সাঃ আরো বলেন যে ব্যক্তি হজ্জ এবং ওমরা পালন করে এই দুইটি নেকির কাজ মানবজাতির জীবনের গুনাহ এবং অভাবকে দূর করে দেয়। (তিরমিজি)
হজ শব্দের অর্থ হল ইচ্ছা পোষণ করাঃ পারিভাষিক ভাষায় হজ বলা হয় নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার নাম হজ।হজ তিন প্রকার তামাত্তু,কেরান, ইফরাদ। বাংলাদেশের মানুষ হজে তামাত্তু পালন করে থাকেন। প্রথমে ওমরা তারপরে হজ্জ পালন করতে হয় ইহাকে হজে তামাত্তু বলা হয়।
ওমরা পালনে চারটি কাজ করতে হয়।দুইটি ফরজ এহরাম বাধা বাইতুল্লাহর তওয়াফ করা, দুই টি ওয়াজিব সাফা মারওয়া সায়ি করা, মাথা মন্ডল করা। এহরামে পাঁচটি কাজ করতে হয় গোসল অথবা ওযু করা, এহরামের দুইটি কাপড় পরিধান করা, দুই রাকাত নামাজ পড়া, নিয়ত করা, তালবিয়া পড়া।
হজ পালনে করনীয়ঃ হজ একেবারেই সহজ কয়েকটি জিনিস মনে রাখতে হবে 3/4/5/6
তিন দিয়েঃ হজের তিন ফরজ যথাঃ
ইহরাম বাঁধা,নয় ই জিলহজ আরাফার মাঠে অবস্থান করা, তাওয়াফে জিয়ারত বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করা।
চার দিয়েঃ হজ করতে চারটি স্থান প্রয়োজন মক্কা, মিনা, আরাফাহ, মুজদালিফা।
পাঁচ দিয়েঃ হজ্জ পালন করতে পাঁচ দিন প্রয়োজন ৮ ই জিলহজ থেকে ৯ ১০ ১১ ১২ই জিলহজ পর্যন্ত।
ছয় দিয়েঃহজের ওয়াজিব ছয় টি
মুজদালিফা রাত্রে অবস্থান করা, মিনায় জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করা, কোরবানি (দমে শুকর) দেয়া, মাথা মুন্ডন করা, সাফা মারওয়া পাহাড়ে সাই করা,দেশে ফিরার পূর্বে বিদায়ী তাওয়াফ করা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হজে মাবরুর মাকবুল নসিব করুন।খতিব বায়তুল জান্নাহ ভুঁইয়া জামে মসজিদ ঢাকা।01717567787