
ফেনীতে আবারো বন্যা, জনজীবন স্থবির
ফেনী ডেস্ক :দিনভর অতিবৃষ্টির কারণে এরই মধ্যে ফেনী জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আজ বুধবার সকাল থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পানি ফেনী জেলার নদ-নদীগুলো দিয়ে প্রবাহিত শুরু হতে পারে। এতে ওই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার তিনটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহতভাব পানি বৃদ্ধি এবং বাঁধ ভাঙনের কারণে প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাঁধের অন্তত ৬টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে মুহুরী নদীর পানি আশপাশের গ্রামগুলোতে প্রবেশ করছে।
জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফুলগাজী উপজেলায় ৯৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে যার মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৭টি।
এছাড়াও, পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দুর্গত পরিবারগুলো আসতে শুরু করেছে।
ফুলগাজী উপজেলায় ২টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৩৬টি পরিবারের, মোট ৮৫ জন। পরশুরাম উপজেলায় ২টি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ৫টি পরিবার, মোট ২০ জন।
ফেনী সদর উপজেলায় ১টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭টি পরিবার, মোট ২৮ জন।
এর আগে আবহাওয়া অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ফেনীতে আজ (০৮ জুলাই) ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা মৌসুমের রেকর্ড। এই অবস্থায় মুহুরী নদীর বিপৎসীমার ওপরে ওঠায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ফেনীতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৪০ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে, যেখানে ৮৯ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত ভারী বর্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে জানিয়েছে,চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে গোমতী নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে।
ওই নদীগুলোর পানির সমতল আগামী একদিনে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিনে স্থিতিশীল থাকতে পারে।